গতকালের বিকালের মত আজ শনিবার সকালও শুরু হয়েছে কালবৈশাখীর তাণ্ডব লীলা দিয়ে। সকালে সূর্যোদয়ের ক্ষাণিক পর থেকেই মেঘের গর্জন, বিদ্যুতের ঝলকানি, বাতাসের তীব্রতার সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রবৃষ্টিতে নাকাল হতে হয় নগবাসীকে। সকালের রাস্তায় যে একটি-দু’টি যানবাহন বের হয়েছে, মেঘের অন্ধকারে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায় সেগুলোকে। সড়কে তৈরি হয়েছে যেন রাতের আবহ। বাতাসে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে অনেক স্থানে। কোথাও কোথাও উড়ে গেছে বড় বড় ব্যানার-প্লাকার্ড।
রাজধানী ঢাকায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে ধূলিঝড়ে দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে রাস্তায়। হঠাৎ হাওয়ায় ফুটপাতের অনেক দোকানের পলিথিন লণ্ডভণ্ড করে উড়িয়ে নিয়ে যায়। পথচারীরা দোকানের ছাউনি, অফিস বা রাস্তার পাশের বিল্ডিংয়ের বারান্দায় আশ্রয় নেন।
এদকে গতকালের রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখীর হানায় বৈদ্যুতিক তারে ঝড়িয়ে এবং শিলাবৃষ্টিতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। কোনো কোনো স্থানে শিলাবৃষ্টি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, অনেক ঘরের চাল ফুটো হয়ে গেছে। এত বড় শিলা সাম্প্রতিকালে হয়নি বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
শিলার আঘাতে মারা গেছেন দিনাজপুর পার্বতীপুরের সৈয়দ আলী (৫৫), মাগুরা সদর উপজেলার আকরাম হোসেন (৩৫) নামে দুই কৃষক, পাবনার ঈশ্বরদীতে জমেলা খাতুন (৫৫), সিলেটের ওসমানীনগরে সাবিয়া বেগম (৩০) এবং হাসান আহমদ নামে দেড় বছরের এক শিশু, যশোরের অভয়নগর উপজেলায় লাইজু খাতুন নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।