নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকায় একটি উগ্রবাদী আস্তানায় আজ ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার জেএমবি সদস্যকে আটক করেছে। এসময় ওই আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি হাত বোমা, দুই লিটার পেট্রল, আটটি সাংগঠনিক বই, কিছু সিডি, ল্যাপটপ, একটি মোটর সাইকেলসহ বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
ভোর ৪টার দিকে উগ্রবাদীদের আস্তানা সন্দেহে উত্তরা গণভবন সংলগ্ন একটি বাড়ি পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘিরে ফেলে। ওই বাড়িতে থাকা সন্দেহভাজন উগ্রবাদীদের আত্মসমর্পণের জন্য আহবান জানানো হয়। এতে সাড়া না পেয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই আস্তানায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। এসময় পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর উগ্রবাদীরা আত্মসমর্পণ করে।
আত্মসমর্পণকারীরা হচ্ছেন, জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার চাপাপুকুর গ্রামের মৃত শুকুরের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মৃত ভিকু মন্ডলের ছেলে ফজলুর রহমান ওরফে ফজলু (৩৮), সিংড়া উপজেলার আরকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইউনুস আলী মিয়ার ছেলে আনিসুর রহমান ওরফে আনিস (৪০) ও নলডাঙ্গা উপজেলার খোলাবাড়িয়া গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (৩৮)।
পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, প্রায় মাস খানেক আগে আমির হামজা নামে দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের এক ছাত্র ও স্কাউট সদস্য ওই বাড়িটি ভাড়া নেয়। আগে ওই বাড়িতে কেউ থাকতো না। স্থানীয় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাড়িটি দেখাশুনা করতেন। তার কাছ থেকে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন আমির হামজা। সেখান থেকে বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন তারা।
তিনি আরো বলেন বলেন, অভিযানকালে আমির হামজাকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আমির হামজাসহ বাকিরা পালিয়ে গেছে। তবে আটক উগ্রবাদীদের কাছ থেকে তথ্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।