ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শুরু হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা ২টা ৩০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক, বাইবেলসহ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় সভাপতির ভাষণ দেবেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন চ্যালেঞ্জ এবং ব্যঞ্জনায় মধ্যদিয়ে এবছর ৭ই মার্চ পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ৭ই মার্চের এই ভাষণকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে এ ভাষণের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুও নিষিদ্ধ হন। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শও।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের গৌরব-সম্মান আরেকবার আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সকাল দশটার আগেই ব্যানার ফেস্টুন এবং সবুজ পোশাকে দলে দলে মানুষ সভাস্থলের দিকে এগুতে থাকে।
একাত্তর সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (সাবেক রেসকোর্স ময়দান) লাখ-লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম- আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’