ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি নিয়ে পথ চলা শুরু হলেও বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা একটি শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনিয়মের কারণে এ খাত থেকে দুর্নীতি দূর হচ্ছে না বলে মত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরের। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।স্বাধীনতার পর দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা বলতে বোঝানো হতো ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংকের কার্যক্রমকে। আমানত ছিলো ৫২৪ কোটি টাকার মতো। এরপর ১৯৮৩ সালে এসে প্রথম বেসরকারি খাতে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়।আর বর্তমানে দেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬’তে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পৌঁছেছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে। শুধু তাই নয়, এ খাত হয়ে উঠেছে কর্মসংস্থানের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।স্বাধীনতার ৪৪ বছরে এসে দেশের ব্যাংকিং খাত তাই অনেকটাই পরিণত-বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংক নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বিভিন্ন সেবা চালু করছে। নতুন নতুন সেবা নিয়ে ব্যাংকগুলো সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছুতে চাচ্ছে।’বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, অন্যান্য খাতের তুলনায় দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উন্নতি হয়েছে দ্রুত। সেই সঙ্গে অগ্রগতি হয়েছে সর্বস্তরের জনগণকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনার উদ্যোগও। তবে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন খাতে ঋণ দেয়ার পর সে বিষয়ে তদারকির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তারা।এ খাতের উন্নয়নে ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানো জরুরি বলেও মনে করেন ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা। এতে পরিচালন ব্যয় ও সুদের হার কমাসহ ব্যাংকগুলোর সেবার মানও উন্নত হবে।
‘৪৪ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাত অনেকটাই পরিণত’
Share!