হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীদেবীর। এ ছাড়া মৃত্যুর আর কোনো কারণ খুঁজে পায়নি দুবাইয়ের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। সন্দেহজনক আর কিছু নেই বলে মত দিয়েছেন দুবাই অফিসিয়াল।
দুবাইয়ে কর্মরত একজন শীর্ষস্থানীয় ফ্রিল্যান্স গণমাধ্যমকর্মী বসুদেব রাও বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি হাসপাতালে মারা যায় আর যদি তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা থাকে তবে মরদেহ অবমুক্তকরণের পদ্ধতিটি বেশ দ্রুতই হয়ে থাকে। তবে যদি কারো মৃত্যু হয় হাসপাতালের বাইরে (সেটা স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও), তবে পুলিশকে মৃত্যুর বিষয়টি জানাতে হয় এবং তারা তদন্ত করে, তারপর মৃত্যুর ঘটনাটি নথিবদ্ধ করে। আর যদি মরদেহটি কোনো বিদেশি নাগরিকের হয় এবং তাঁকে সমাধিস্থ করার জন্য তাঁর নিজের দেশে পাঠাতে হয়, তবে আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়।
কার্যপ্রণালী অনুযায়ী, মরদেহটি প্রথমে আল কুসাইস মর্গে রাখা হয়। এরপর ফরেনসিক এভিডেন্স বিভাগের পরীক্ষার পর তা হস্তান্তর করা হয় পুলিশের নিকট। পুলিশ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর একটি মৃত্যু সনদ (ডেথ সার্টিফিকেট) প্রদান করে। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।
এরপর পুলিশ মৃত ব্যক্তির ভিসা যাচাই করে। এরপর ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রে ভারতের কনস্যুলেট মৃত ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিল করে এবং একটি মৃত্যু সনদ ইস্যু করে। এরপর কনস্যুলেটের তরফ থেকে একটি অনাপত্তিপত্র প্রদান করা হয়, যাতে মৃতদেহের পরিবহন সহজতর হয়।
সব মিলিয়ে অনেক ধরনের কাগজ। সব শেষে যাওয়া হয় বিমানবন্দরে, বিমানের কিছু কাজ বাকি থাকে। সেগুলো সমাধা করতে হয়।
উল্লেখ্য, মৃত্যু সনদটি আরবিতে ইস্যু করা হয়। পরে সেটি ইংরেজিতে অনুদিত হয়ে যায় ভারতীয় দূতাবাসে। তারপর অনাপত্তিপত্রটি তুলে দেওয়া হয় পরিবারের নিকট। এরপর মৃতদেহটি ফিরে আসে নিজ দেশে, সমাধিস্থ হওয়ার জন্য।