যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার সিরিয়ায় সর্বাধুনিক দুটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে রাশিয়া। সন্ত্রাসীদের অবস্থানে হামলার কথা বলে দেশটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক স্টিলথ যুদ্ধবিমান এফ-২২ মোতায়েন করার পর রাশিয়া এ পদক্ষেপ নিল।
সম্প্রতি কোনো কোনো গণমাধ্যম খবর দিয়েছে যে, রাশিয়ার দুটি এসইউ-৫৭ বিমানকে সিরিয়ার আকাশে দেখা গেছে এবং বিমান দুটি পরে লাতাকিয়া প্রদেশের হেমেইমিম বিমানঘাঁটিতে নামে। এসইউ-৫৭ হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।
খবরে বলা হয়েছে, এ বিমান দুটিকে চতুর্থ প্রজন্মের এসইউ-৩০এসএম বিমান এস্কর্ট করে নিয়ে যায়। এসইউ-৫৭ স্টিলথ বিমান যদিও হামলার কাজে ব্যবহার করা হয় তবে বহুমুখী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ বিমানে রয়েছে এমন কিছু ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থা যা যুদ্ধক্ষেত্রে পাইলটকে স্বাধীনভাবে সহায়তা করতে পারে।
সিরিয়ায় এ বিমান মোতায়েনের বিষয়টি রাশিয়া সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে নি। তবে রুশ সংসদের সামরিক শিল্প বিষয়ক কমিটির সভাপতি ভ্লাদিমির গুতেনভ বলেছেন, ‘এ খবরকে আমরা সর্বান্তকরণে স্বাগত জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, এ পদক্ষেপ সন্দেহাতীতভাবে সিরিয়ার প্রতিবেশী কিছু দেশকে রাজনৈতিক বার্তা দেবে যারা মাঝেমধ্যেই সিরিয়ার আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে। গুতেনভ আরো বলেন, যুদ্ধপরিস্থিতিতে এসইউ-৫৭ বিমানের পরীক্ষা করা প্রয়োজন, সে কাজটি এখন সম্পন্ন হবে।
ওদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, সিরিয়ায় মোতায়েন রুশ সেনারা শেষ পর্যন্ত নির্ভয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে। রুশ সেনারা এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে।
পুতিন আরও বলেছেন, গত কয়েক বছরের ঘটনাবলী থেকেই এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, রাশিয়া সামরিক প্রস্তুতি ও সমরাস্ত্রের গুণগত মানের দিক থেকে গোটা বিশ্বে উন্নত অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে নানা সময় ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়ায় সফলতার সঙ্গে তৎপরতা চালানোর জন্য নিজ দেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন।
২০১১ সাল থেকে বিদেশি মদদে সিরিয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর সিরিয়ার সরকারের আহ্বানে সেখানে সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া।