ফেসবুক খুলে দেয়ার ব্যাপারে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি অবমাননাকর পোস্ট সরানোসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সরকার ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। তাই খুব শিগগিরই ফেসবুক খুলে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রোববার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ এশিয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু সম্যস্যা রয়েছে। ফেসবুকে সরকারের বিরুদ্ধে নানা প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। এসব বিষয়ে আমরা তাদের কাছে তুলে ধরেছি।তারা এ বিষয়ে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া বৈঠকে সাইবার অপরাধ রোধ এবং আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণসহ করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে কনরফারেন্স কক্ষে ফেসবুক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পাবলিক পলিসি ম্যানেজার বিক্রম লাং এবং ল’ অ্যানফোর্সমেন্ট স্পেশালিস্ট দিপালী লিবারহেন- এর সঙ্গে বৈঠকে করেন সরকারের তিন মন্ত্রী।সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী তিন মন্ত্রী হলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।এসময় বিটিআরসি, এনটিএমসিসহ আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সরকারের আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ষষ্ঠ দিনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এ বৈঠকে বসল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের তরফ থেকে এখানে এডমিন বসাতে ও চুক্তি করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখানো হয়েছে।বৈঠকের আগে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফেসবুকের দুই কর্মকর্তা ঢাকায় এসেছেন। আমাদের সমস্যাগুলো আমরা তাদের জানাব। তারাও এ ব্যাপারে ইতিবাচক বলে আমাদের জানিয়েছে। ফলে ওই বৈঠকে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে বলে আমি আশাবাদী।এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে সরকারের পক্ষে চিঠি পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ১৭ নভেম্বর প্রথম ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।এর একদিন পর অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর থেকে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেয় সরকার। এখন পর্যন্ত এগুলো খুলে দেয়া হয়নি।
ফেসবুক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে
Share!