সৌদি আরবে অর্থনৈতিক সংস্কারের নামে সরকার বিভিন্ন বিতর্কিত উদারপন্থী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা নিয়ে সৌদিসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্বের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বরাবরই সৌদি কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে নীরবতা পালন করছে।
তবে এবার সৌদি আরবের একজন লেখক সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন। তিনি সৌদির সব মসজিদের মাইকে আজান প্রচার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
মসজিদের সংখ্যাও কমাতে বলেছেন মোহাম্মদ আল সুহাইমি নামে ওই লেখক। আর তিনি এসব দাবি জানিয়েছেন খোদ সৌদির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এমবিসিতে।
সৌদি আরবে মুসলমানদের কেবলা কাবা শরিফ অবস্থিত। এ ছাড়া মসজিদুন নববী ছাড়াও মহানবীর (সা.) স্মৃতি বিজড়িত মসজিদগুলোও দেশটির ভূখণ্ডের মধ্যে পড়েছে।
এ অবস্থায় সুহাইমির দাবির বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সৌদির মুসলমানরা। তারা এ লেখকের শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে সমালোচনা এড়াতে সৌদি কর্তৃপক্ষও নড়েচড়ে বসেছে। রিয়াদ ডেইলি জানিয়েছে- সৌদির সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয় তার ওপর লেখালেখি এবং যে কোনো গণমাধ্যমের কার্যক্রমে যোগদানের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ ছাড়া তাকে একটি তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমবিসি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সুহাইমি বলেন, উচ্চঃস্বরে আজান বয়স্ক লোক ও শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। একই সময়ে বহু মসজিদের মাইকে আজান প্রচারিত হলে জনগণের অসুবিধা হয় এবং শিশুরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তার মতে, যেসব এলাকায় একাধিক মসজিদ রয়েছে, সেখানে বাড়তি মসজিদও বন্ধ করে দিতে হবে।
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা বলেছে, ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- আজান যা মানুষকে নামাজ পড়ার আহ্বান জানায়।
আলজাজিরার দাবি, সৌদি আরবের টেলিভিশন থেকে এ ধরনের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারের উদ্দেশ্য সুবিধাজনক নয়। সৌদি সরকার মসজিদের মাইকে আজান প্রচারের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে।