চন্দিকা হাথুরুসিংহের পদত্যাগের পর এখন পর্যন্ত কোনো প্রধান কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফিল সিমন্স, রিচার্ড পাইবাসর ইন্টারভিউ দিতে এসেও প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরে গেছেন। সিমন্স ইতিমধ্যে দায়িত্ব নিয়েছেন আফগানিস্তানের। মার্চে ‘নিদাহাস ট্রফি’তেও নাকি নতুন কোচ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাহলে প্রধান কোচ না পাওয়াই কি ঘরের মাঠে টানা তিন সিরিজ হারের কারণ?
প্রধান কোচ ছাড়া তিনটি সিরিজ খেলা বাংলাদেশ তিনটিতেই হেরেছে। টি-টোয়েন্টিতে তো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হয়েছে। প্রধান কোচ না থাকাই কি হারের মূল কারণ? হাথুরুসিংহে যেভাবে বাংলাদেশকে একটি দলে পরিণত করেছিলেন, তেমন সংগঠিত করার কি কেউ নেই? প্রশ্নটা ছুটে গেল ভারপ্রাপ্ত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের দিকে। রিয়াদ জবাব দিলেন খুব সতর্কভাবে।’
তিনি বললেন, ‘এই বিষয়ে আমার মন্তব্য না করাই ভালো। এটা অন্যরকম একটা ইস্যু। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, আমার মনে হয় এটা পুরোপুরি আমাদেরই দায়িত্ব কিভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমরা আগাব। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে খুঁটিনাটি সব বের করতে হবে যে কোথায় ভুলগুলো করছি। না হলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।’
দেশের মাটিতে গত তিনটি সিরিজ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসলের কোচিংয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ফলাফল শূন্য। দুজনেই সিরিজ শুরুর আগে হাথুরুসিংহেকে অগ্রাহ্য করেছিলেন। বলেছিলেন, মাঠে তো হাথুরু গিয়ে খেলবেন না। সেই হাথুরুই তার জাদুকরী ক্ষমতায় ভাঙাচোরা একটি দলকে প্রথম চান্সেই তিন তিনটি সিরিজ জিতিয়ে দিলেন! বাংলাদেশ হয়ে পড়ল ছন্নছাড়া।