মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যে কয়েকদিন আগেই নিকোলাস ক্রুজ নামে এক বহিষ্কৃত স্কুলছাত্র গুলি করে খুন করে ১৭ জনকে। এর পেছনে নানা কারণ থাকলেও প্রশ্ন উঠেছে স্কুলছাত্রের হাতে যাওয়া অস্ত্রগুলো নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে কেউ চাইলেই ইচ্ছেমতো অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারে।
দেশটিতে অস্ত্রের সহজলভ্যতা পাল্টানোর কোনো লক্ষণ নেই। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করার দাবি করছেন অনেকেই। তবে তাতে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
সম্প্রতি ফ্লোরিডা হত্যাকাণ্ডের পরে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করার জন্য চাপ দিচ্ছে বহু নাগরিকই। তবে তাদের একরকম বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েই ১৭ হত্যাকাণ্ডের নিকটবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে নতুন এক অস্ত্র প্রদর্শনী।
শনিবার মায়ামি-ডেড ফেয়ারগ্রাউন্ডে শুরু হয়েছে ‘মায়ামি গান শো’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু মানুষই ভিড় করছেন এ অস্ত্র প্রদর্শনী দেখার জন্য।
অস্ত্র প্রদর্শনীতে রয়েছে বিভিন্ন মডেলের হ্যান্ডগান, শটগান ও সেমি অটোমেটিক রাইফেল। এ ধরনের একটি অস্ত্র দিয়েই সাম্প্রতিক ১৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
অস্ত্র সংগ্রহ করাও খুব সহজ। দুর্বল আইন থাকলেও তা সহজেই পাশ কাটানো যায়। আ এতে কোনো মার্কিনি ইচ্ছা করলেই অসংখ্য ভয়ঙ্কর অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই অবশ্য দেশটিতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্দোলন করছেন। তবে তাদের বিরোধীরাও শক্তিশালী। তারা বলছেন, অস্ত্র পাওয়া তাদের অধিকার। আর যারা অস্ত্র অপব্যবহার করছেন, তারা ভিন্ন কোনো সমস্যার কারণে তা করছেন। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ না করে বরং সে সমস্যা সমাধান করা হোক।
সম্প্রতি ফ্লোরিডার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিয়ামি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত পার্কল্যান্ড শহরের মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে সে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সময় স্কুলে প্রবেশের আগেই ক্রুজ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর স্কুলে প্রবেশের পরই সে ফায়ার অ্যালার্ম বাজায়। এতে অনেকেই শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হলে নির্বিচারে গুলি চালায় সে। তাতে ঘটনাস্থলেই আরো ১২ জন নিহত হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরো দুজনের।
হামলায় একটি ‘এআর-১৫’ রাইফেল ব্যবহার করে ক্রুজ। তার কাছে কয়েকটি ম্যাগজিন ছিল। হামলার পরই সে পালিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী কোরাল স্প্রিং শহর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।