ইউরোপের দেশ কসোভোর সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। আজ কসোভোর স্বাধীনতার ১০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দেশটির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের উদ্যোগ নিল। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ কসোভোকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে যৌথ বিবৃতি সাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও কসোভোর কনসাল জেনারেল রাষ্ট্রদূত মিজ টেউটা সাহাতকাইজা নিজ নিজ দেশের পক্ষে যৌথ বিবৃতিতে সই করেন।
যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে সূদৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবদান রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। বিবৃতিটি সইয়ের মাধ্যমে উভয় দেশ জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও আঞ্চলিক সংহতি বজায় রাখা, অন্য রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাসহ জাতিসঙ্ঘের নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক আইনসমূহের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করল।
আজ থেকে কসোভোতে শুরু হবে স্বাধীনতা ঘোষণার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানমালা। এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশন চলাকালীন কসোভোর রাষ্ট্রপতি হাসিম থাচির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কসোভো ইউরোপের বলকান অঞ্চলের একটি রাষ্ট্র, যা আগে সার্বিয়ার একটি প্রদেশ ছিলো। প্রদেশটি ১৯৯৯ সাল থেকে জাতিসঙ্ঘ প্রশাসনের তত্ত্ববাবধানে রয়েছে। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কসোভো স্বাধীনতা ঘোষনা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বেশ কিছু দেশ কসোভোকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিলেও রাশিয়া এর বিরোধীতা করেছে। আর এ কারণে পশ্চিমা চাপ সত্বেও কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ বেশ সময় নিয়েছে।
কসভোর সীমান্তে মন্টেনিগ্রো, আলবেনিয়া ও ম্যাসিডোনিয়া অবস্থিত। এর জনসংখ্যা ২০ লাখ, যাদের বেশিরভাগই জাতিগতভাবে আলবেনীয়।