১১০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন দিলরুয়ান পেরেরা এবং রোশান সিলভা। ৫২ রানের এই জুটি ভাঙলেন তাইজুল ইসলাম। এই ঘূর্ণি বোলারের বলে পেরেরার ক্যাচ নেন মুমিনুল হক। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি দিলরুয়ান পেরেরা। ১৬২ রানে ৭ম উইকেটের পতন ঘটল শ্রীলঙ্কার।
আজ বৃহস্পতিবার চলতি টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৪ রানে দীর্ঘ ৪ বছর পর জাতীয় দলে ফেরা আব্দুর রাজ্জাকের ঘূর্ণিতে এবং লিটন দাসের দ্রুততায় স্টাম্পড হয়ে যান করুনারত্নে (৩)। এরপর ৪৭ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস আর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এমন সময় মঞ্চে আসেন তাইজুল। তার ঘূর্ণিতে সাব্বির রহমানের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন ধনাঞ্জয়া (১৯)।
এরপর পুনরায় মঞ্চে আবির্ভাব রাজ্জাকের। তার করা ২৮তম ওভারের প্রথম বলে দানুশকা গুনাথিলাকার (১৩) দেওয়া ক্যাচটি অবিশ্বাস্য দক্ষতায় তালুবন্দি করলেন মুশফিকুর রহিম। পরের বলেই অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালকে (০) বোল্ড করে দেন রাজ্জাক। লাঞ্চের পরেই শ্রীলঙ্কার দলীয় ১০৯ রানে ওপেনার কুশল মেন্ডিস (৬৮) রাজ্জাকের চতুর্থ শিকার হন। ১ রানের ব্যবধানে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকাভেলাকে (১) বোল্ড করে দেন তাইজুল। এরপর জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন দিলরুয়ান পেরেরা এবং রোশান সিলভা।
এই টেস্ট জিতলে কিংবা ড্র করলে প্রথমবারের মত টেস্ট র্যাংকিংয়ে ৮ নম্বরে ওঠার সুযোগ আছে টাইগারদের সামনে। শের-ই-বাংলার ঘূর্ণি উইকেটে ৩ স্পিনার নিয়ে আক্রমণ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। ৩৫ বছর বয়সী রাজ্জাকের সঙ্গে ঘূর্ণি আক্রমণে আছেন তাইজুল ইসলাম আর মেহেদী মিরাজ। একমাত্র পেসার হিসেবে আছেন ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান।
একাদশে আরও সুযোগ পেয়েছেন হার্ডহিটার সাব্বির রহমান। তাকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়তে হয়েছে অল-রাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে। চোখের সমস্যা কাটিয়ে এই সিরিজেই দলে ফিরেছিলেন মোসাদ্দেক। চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসেই ৮ রান করে করায় (একটি অপরাজিত) তাকে আর সুযোগ দেওয়া হয়নি। এছাড়া বাকী সব কম্বিনেশন একই আছে।
টাইগার একাদশ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটকিপার), সাব্বির রহমান, মেহেদী মিরাজ, আব্দুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলাম এবং মুস্তাফিজুর রহমান।