মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ আমি আশা করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে অবদান রাখার মধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আশার কথা প্রকাশ করেন।
আগামীকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এ উপলক্ষে তিনি এই ইউনিটের সদস্যসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্বগাঁথার ইতিহাসকে ধারণ করে সগৌরবে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এই বাহিনী উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়াও জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের সাফল্য দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে বলেও বাণীতে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার পুলিশ তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি দক্ষ, জনবান্ধব ও প্রতিশ্রুতিশীল বাহিনীতে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চর ভয়াল রাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ও বিভিন্ন সময়ে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী দেশপ্রেমিক বীর পুলিশ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।