ক্রমে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী হয়ে উঠছে রাশিয়া। আর এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিশ্লেষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এবার তরা নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারে বৈচিত্র্য আনার প্রস্তাব করেছে। এ প্রস্তাবে রয়েছে ছোট ছোট পরমাণু বোমা তৈরি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনুগত মার্কিন সেনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ছোট আনবিক বোমা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর হবে।
সম্প্রতি পেন্টাগন নিউক্লিয়ার পোশ্চার রিভিউ (এনপিআর) নামে এক রিপোর্ট তৈরি করেছে। এতে উত্তর কোরিয়া, চীন ও ইরান নিয়ে হোয়াইট হাউসের উদ্বেগের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
এ রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো এত বড় ও ভারী যে সহজে সেগুলো ব্যবহৃত হবে না, রাশিয়ার এমন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী উদ্বিগ্ন বলে এনপিআরে বলা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত ছোট, কম ওজনের পারমাণবিক বোমা মস্কোর ওই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে।
২০১০ সালের পর মার্কিন সেনাবাহিনী এবারই প্রথম ভবিষ্যতের পারমাণবিক হুমকি নিয়ে তাদের পর্যালোচনা হাজির করল। যদিও তাদের প্রস্তাবে নতুন করে পারমাণবিক অস্ত্র না বাড়িয়ে তৈরি ওয়ারহেডগুলোকেই পুনঃব্যবহারের উপযোগী করতে বলা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, ২০ কিলোটনের কম ওজনের আনবিক বোমাগুলোও বড়গুলোর চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল হলেও যথেষ্ট ধ্বংসাত্মক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে জাপানের নাগাসাকিতে এ ধরনের বোমায় ৭০ হাজারের বেশি লোক মারা পড়েছিল।
ছোট এ ধরণের আনবিক বোমা সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়াতে নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ বিশেষ করে রাশিয়ার চোখ রাঙানি এড়াতেই নেওয়া উচিত বলে দাবি পেন্টাগনের।
তবে এ রিপোর্ট প্রকাশের পর নতুন করে বিশ্বে পরমাণু বোমা প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ছোট আনবিক বোমা সমৃদ্ধকরণের দিকে ঝুঁকলে বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে যাবে। এতে সার্বিকভাবে অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে বিশ্ব।