আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। প্রথমবারের মত জেতা হলো না ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা। অধিনায়ক হিসেবে এমন এক কীর্তি গড়তে পারলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। চলতি মাসের শেষ দিনটি থেকে শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। এই টেস্টে বাংলাদেশ পাচ্ছে না ইনজুরিতে আক্রান্ত বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। তাই ম্যাশের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন, তিনি কি সাদা পোশাকে ফিরবেন আবার?
মাশরাফির জবাবটা ছিল দারুণ ইতিবাচক। সবাইকে মোটামুটি অবাক করেই তিনি বললেন, ‘যদি দলের দরকার হয় অবশ্যই আমি চেষ্টা করব। এখন মাহমুদউল্লাহ আছে (ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক)। আমার বিশ্বাস যে ও দলকে চালিয়ে নিতে পারবে। আর সব সিনিয়র খেলোয়াড়ই তাকে সমর্থন করবে।’
গত বছরের শেষ দিকে মুশফিককে সরিয়ে সাকিবকে টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছিল। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। সহ-অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদকে নেতৃত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তার বড় দৈর্ঘ্যের ক্যাপ্টেন্সির কোনো অভিজ্ঞতা নেই। যদিও বিপিএলে তার নেতৃত্ব দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে পরপর দুই সিজনেই। এই পরিস্থিতিতে মাশরাফিই এমন এক ব্যক্তি, যিনি যে কোনো ফরম্যাটে অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য। দলকে একই সুঁতায় গাঁথতে তার জুড়ি নেই।
২০০৯ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলা মাশরাফি ফিরতে চাইলেও বিসিবির ভাবনা আবার অন্যরকম। গতকাল ফাইনাল শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘টেস্ট মাশরাফির জন্য আদর্শ নয়। টেস্ট খেলা অনেক কঠিন। তাকে আমাদের প্রয়োজন আছে। তবে যদি সে চায় আমরা এখনই টি-টোয়েন্টি দলে তাকে ফেরাতে পারি।’
কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে আর কখনই ফিরতে চান না মাশরাফি। গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে যে জোর করে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছিল সেটা আর গোপন নেই। এর পেছনে মূল কলকাঠি নেড়েছেন তখনকার জাতীয় দলের ‘একনায়ক’ কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে, সেটাও আর গোপন নেই। তারপরও দেশের জন্য অনিচ্ছাসত্ত্বেও ফিরতে রাজী মাশরাফি। বিসিবি কি তাকে ফেরাবে?