জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক চলছে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে পৌঁছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান মামলার শুনানি শুরু করেন। এর আগে মঙ্গলবার ১০ম দিনের মতো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
এর আগে ১১ জানুয়ারি ৯ম দিনের মতো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। এর পর আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী আহসান উল্লাহ। তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আজ যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
নিজের যুক্তিতর্ক শেষ হলেও এখন থেকে মামলার নির্ধারিত তারিখে এবং অন্য আসামিদের যুক্তিতর্ক চলাকালে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে খালেদা জিয়াকেও। গতকাল খালেদার পক্ষে দুটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। একটিতে স্থায়ী জামিনের আবেদন করা হয়। অন্যটিতে তার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষ হয়ে যাওয়ায় অন্য আসামিদের যুক্তিতর্ক চলাকালে আগামী তিন কার্যদিবস খালেদা জিয়াকে যেন আদালতে হাজির না হতে হয় সে আবেদন করা হয়। দুটি আবেদনই নামঞ্জুর করেন বিচারক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় প্রথম মামলাটি করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।