আফগানিস্তানের টেস্ট খেলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। শক্তির আকাশ-পাতাল পার্থক্য থাকলেও আগেই আফগানদের সঙ্গে অভিষেক টেস্ট খেলার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিল এশিয়ার ক্রিকেট শক্তি ভারত। এবার ঠিক হয়ে গেল দিন-তারিখ। চলতি বছরের ১৪ থেকে ১৮ জুন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে আফগানিস্তান।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আফগানিস্তানকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়। তখন থেকেই টেস্ট অঙ্গণে নিজেদের উপস্থিতির জন্য মুখিয়ে ছিল আফগানরা। আর তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘বন্ধু’ দেশ আফগানিস্তানকে টেস্ট আঙ্গিনায় স্বাগত জানাতে পেরে তারা আনন্দিত।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান তাদের বেশিরভাগ হোম সিরিজই ভারতের মাটিতে খেলেছে। ভারতের মাটিতেই তারা অনুশীলন করে আসছে। সে কারণেই আফগানদের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তিতে ভারতের একটি মূখ্য ভূমিকা ছিল।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) চেয়ারম্যান আতিফ মশাল বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নয়া দিল্লীতে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘এটা আফগানিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন, সবাই এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল। গত কয়েক বছর ধরে এসিবির প্রতি বিসিসিআই যে পরিমাণ সহযোগিতা করেছে তার তুলনা হয়না।’
এসিবি প্রধান নির্বাহী শফিক স্টানিকজাই বলেছেন, ‘শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে এটা আফগানদের অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা তাদের থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারব। আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যত আছে। আমাদের দলে অনেক প্রতিভা আছে। সে কারণেই আগামী ৩ বছরে টেস্ট ক্রিকেটেও আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে আবির্ভূত হতে চাই।’
এর আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশও অভিষেক টেস্ট খেলেছিল ভারতের বিপক্ষে। প্রায় ১৮ বছর পর আরও একটি দলের অভিষেক ঘটিয়ে দিচ্ছে ভারত। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই নিজেদের শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়েছে আফগানিস্তান। এর মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে সিরিজ জয় অন্যতম। বিপিএল, আইপিএলসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও নিয়মিত খেলছে আফগান তারকারা।