নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে লড়ছিল পাকিস্তান। ৩২ ওভারের খেলা চলছিল। ক্রিজে ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক। কিউই বোলারকে মোকাবেলা করে দ্রুত এক রান নিতে চাচ্ছিলেন স্ট্রাইকে থাকা শোয়েব। কিন্তু ফিল্ডারের কাছে বল চলে যাওয়ায় শোয়েবকে ফিরে যেতে বললেন হাফিজ। ততক্ষণে স্ট্যাম্পে লক্ষ্য করে বল ছুঁড়ে মেরেছেন কলিন মুনরো। আর শোয়েবও ছুটছেন। ঠিক তখনি বলটি আঘাত করে শোয়েবের মাথার পেছনের দিকে। ক্রিজে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
স্পিনার বল করায় ওই সময় মাথায় হেলমেট পরেননি শোয়েব। ফলে বল সরাসরি তার মাথায় আঘাত করে। ছুটে আসেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার পর আবার মাঠে নামেন শোয়েব। ফলে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে।
ক্রিজে ফেরার সময় তার সংগ্রহ ছিল ১। তবে বেশি দুর আর এগুতে পারেননি। আর মাত্র ৫ রান করেই সাজঘরে ফিরেন তিনি।
ড্রেসিং রুমে ফেরার পর কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাই আর পরে ফিল্ডিংয়ে নামানো হয়নি শোয়েবকে।
তার অবস্থার ব্যাপারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়, শোয়েব অসুস্থ বোধ করায় তাকে আর মাঠে নামানো হয়নি।
দলের ফিজিও ভিবি সিং জানান, ‘যখন মাঠে ছিলেন তখন ভালো ছিলেন। কিন্তু ড্রেসিং রুমে ফেরার পর কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাই তাকে বিশ্রামে রাখা হয়। তবে এখন তিনি ভালো আছেন।’
পাকিস্তানের অবিশ্বাস্য জয়
৮.৫ ওভারেই জয় নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড পাত্তাই পেলো না তাদের কাছে। ৯ উইকেটে অবিশ্বাস্য জয় পেলো পাকিস্তানের যুবারা।
অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ-পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় ভোর রাত সাড়ে ৩টায় মাঠে নামে পাকিস্তান। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সেটা কতটা সঠিক ছিল, তা আয়ারল্যান্ডের বিধ্বস্ত অবস্থা দেখেই বোঝা যায়।
কোনো ব্যাটসম্যানকেই ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে দেয়নি পাকিস্তানের যুবারা। সর্বোচ্চ ২৪ করতে পেরেছিলেন জোসুয়া লিটল। শূন্যতে ফিরে গেছেন চারজন।
আর আয়ারল্যান্ডকে এই অসহায় অবস্থায় ফেলেছেন পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার আগুন ঝরা বোলিংয়ে পুড়ে ছাই হয়েছে আয়ারল্যান্ড। একাই শিকার করেছেন ৬টি উইকেট।
শাহিন ছাড়া হাসান খানও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। নিয়েছেন তিনটি উইকেট। একটি উইকেট ভাগে পেয়েছেন আরশাদ ইকবাল।
আয়ারল্যান্ডের দেয়া ৯৮ রানের ছোট লক্ষ্য প্রায় একাই তুলে নিয়েছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ জাইদ আলম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আলোচনায় ছিলেন পাকিস্তানের এই যুবা। চার-ছক্কার তাণ্ডব চালিয়ে করেচেন ঝড়ো ৪৩ রান। এতে সাত বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হাকিয়েছেন এই যুবা ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। তারা সঙ্গী রোহাইল নাজির ১৮ রানে আউট না হলে ১০ উইকেটেই জয় পেতো পাকিস্তান।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বোলিং তাণ্ডব চালানো শাহীন শাহ আফ্রিদি।
এর আগে গ্রুপ-পর্বের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারে পাকিস্তান। তাদের শেষ ম্যাচ শুক্রবার। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।