আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দল মনোনীত মেয়র প্রার্থীদেরকে মঙ্গলবার থেকে প্রত্যয়ন পত্র দেয়া শুরু করেছে বিএনপি। পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী বাছাইয়ে তাদের সাংগঠনিক আর আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. ওসমান ফারুক বিবিসিকে বলছেন, মনোনয়নে সেইসব প্রার্থীদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে যাদের দলের সাংগঠনিক কাজকর্মে সক্রিয় দেখা গেছে। আন্দোলন সংগ্রামে তাদের ভূমিকা কি ছিল, সেসব বিবেচনাতেই প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে।তিনি বলছেন, ”প্রার্থী মনোনয়নে আমাদের যথেষ্ট গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। কারণ তফসিল ঘোষণা আগে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বার্তা হয়নি। বিশেষ করে এবার দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সঙ্গেও কোন আলোচনা করা হয়নি। তারপরেও আমরা গুছিয়ে নিয়েছি।”এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিতব্য এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলটির অংশ নেয়া সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, যদিও এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না দাবী করে বিগত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।ড. ফারুক জানান, অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা থাকায় বা তারা কারাগারে থাকায় দলের অনেক নেতাকর্মী সুযোগ পাচ্ছেন না। তবে যারা রয়েছেন, তাদেরকে নিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।এখনো অনেক নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। তাদের নির্বাচনের আগেই ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হবে।২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। তাদের প্রার্থীরা কি জোটভুক্ত দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে। এমন প্রশ্নে ড. ওসমান ফারুক বলেন, এ রকম কোন বিষয় তার জানা নেই।এর আগে সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও, পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি আপাতত এককভাবেই নির্বাচন করার কথা ভাবছে বলে দলটির নেতারা জানিয়েছেন।তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনে দেখা করে নির্বাচন ভোট পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছিল বিএনপি। তবে সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছে কমিশন।এর পর সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শংকা প্রকাশ করলেও, মঙ্গলবার রাত থেকে প্রার্থীদের প্রত্যয়ন পত্র দিতে শুরু করে দলটি।তফসিল অনুযায়ী, ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর বাছাই শেষে ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
প্রার্থী বাছাইয়ে সাংগঠনিক ভূমিকা অগ্রাধিকার বিএনপির
Share!