Tuesday , 24 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সবাই তাক লাগিয়ে দিল দ্রাবিড়ের ছেলে

বাবার পথেই হাঁটছেন ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলে সামিত। কর্নাটক প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিটিআর কাপ অনুর্ধ্ব-১৪ আন্তঃস্কুল ক্রিকেটে সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন ‘দ্য ওয়াল’ খ্যাত দ্রাবিড়ের ছেলে সামিত।

মালিয়া অদিতি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের হয়ে খেলা সামিত ১৫০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে। তার এমন দুর্দান্ত নৈপুণ্যে বিবেকানন্দ স্কুলের বিপক্ষে ৪১২ রানের জয় পায় মালিয়া অদিতি স্কুল।

৫০ ওভারের ম্যাচে কৃতিত্ব দেখিয়েছে ভারতের সাবেক স্পিনার সুনিল যোশির ছেলে আরিয়ানও। সামিতের ১৫০ ও আরিয়ানের ১৫৪ রানের ইনিংসের সুবাদে দল ৫ উইকেটে ৫০০ রান করে। জবাবে প্রতিপক্ষ মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, দুই বছর আগে অনুর্ধ্ব-১৪ স্কুল ক্রিকেটে ১২৫ রানের একটি ইনিংস খেলে সবার দৃষ্টি কেড়েছিলেন সামিত।

আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য সোমবার ১৬ সদস্যের শ্রীলঙ্কা দল ঘোষণা করেছেন নতুন কোচ হাতুরাসিংহে। এই দলে এক তরুণ পেসারকে রাখাকে চমক হিসেবে দেখছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। ২২ বছর বয়সী সেই পেসারের নাম শেহান মাদুশঙ্কা। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবে মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তাতে আহামরি কোনো পারফরমেন্সও করেননি। তারপরও কীভাবে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন মাদুশঙ্কা?

এর পেছনে প্রধান ভূমিকা ছিল হাতুরাসিংহের। ঘরোয়া ক্রিকেটে মাত্র অভিষেক হয়েছে মাদুশঙ্কার। তিনটি ফাস্ট ক্লাস ও তিনটি ‘এ’ ক্যাটাগরির ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বোলিংয়ে তেমন নজর কাড়তে না পারলেও তার গতি ইতোমধ্যেই অনেকের নজরে পড়েছে।

আসন্ন ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ভেনু ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বিচারের মাদুশঙ্কাকে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাতুরাসিংহে। বাংলাদেশের সাবেক এই কোচ বলেন, ‘তার বলের তীব্র গতিতে ব্যতিক্রমী প্রতিভার ইঙ্গিত রয়েছে। জন্মগত প্রতিভা। আসছে বিশ্বকাপের জন্য আমাদের ৭-৮ জন ফাস্ট বোলার প্রয়োজন পড়বে। দীর্ঘ মেয়াদে লঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র শেহান।’

মাদুশঙ্কা এর আগে কখনো জাতীয় দল কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে খুব একটা খেলেননি, প্রতিপক্ষের তাই তাকে নিয়ে বিশ্লেষণের সুযোগ কম। এই সুযোগেই মাদুশঙ্কাকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন হাতুরু।

এর আগে বাংলাদেশের দায়িত্বে থাকাকালীন ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলে মোস্তাফিজুর রহমানকে সুযোগ দিয়েছিলেন হাতুরু। অভিষেকেই ক্রিকেটবিশ্বের নজর কেড়েছিলেন তিনি।

মাদুশঙ্কাকে দিয়েও কি এমনটা আশা করছেন হাতুরু, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ পর্যন্ত।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top