অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করায় বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এরই মধ্যে সুদের হার বাড়াতে চাচ্ছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কেননা, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে যাব, এটি সত্যি। কিন্তু তাই বলে এখন থেকেই সুদের হার বেশী দিতে হবে- এটা কোনো কথা না। এলডিসি দেশ থেকে উন্নয়নে নির্দেশকসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানে খসড়া রিপোর্টের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মো. আলকামা সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহউদ্দিন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি কলেজগুলো জাতীয়করণের ফলে ওই কলেজের শিক্ষকরা ঢাকায় চলে আসেন এবং বসে বসে বেতন নেন! প্রায় ৫০ ভাগ শিক্ষক ঢাকায় চলে আসেন। আমি এ বিষয়টা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। বাংলাদেশে এখনও ৪ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করে। তবে দারিদ্র্য নিরসনের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ রোল মডেল, বলেন তিনি। দেশে গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গ্রামাঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবার মান ভালো। কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ে যেগুলো রয়েছে তার মান ভালো না।
বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণে ধ্বংস হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ঢাকায় সব কলেজে শিক্ষক আছে, কিন্তু গ্রামে নেই। বাংলাদেশের অগ্রগতি বিস্ময়কর উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশ সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সব দেশ ডিউটি ফ্রি দিচ্ছে। আমরা যখন গ্রামে যাই। গ্রাম আর গ্রাম নেই শহরের মতো হয়ে গেছে।