আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার ৫২তম আসরের প্রথম পর্ব। এরই মধ্যে টঙ্গির তুরাগ তীরে ইজতেমার প্রস্তুতির কাজ, প্রায় ৭৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। ওয়াচ টাওয়ার সিসি ক্যামরাসহ সব ধরণের নিরপত্তা উপকরণের পাশাপাশি আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় এবার মোতায়েন থাকবে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ সদস্য।
স্বেচ্ছাশ্রমের এমন দৃষ্টান্ত খুব কমই দেখা যায়। টঙ্গীর তুরাগ তীর, অংকের হিসাবে ১৬০ একর জায়গায়। পুরো মাঠটি জুড়ে চলছে ইজতেমার ৫২তম আসরের প্রস্তুতির কর্মযজ্ঞ।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, দিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রম। এবারই প্রথম নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে স্থায়ীভাবে মাঠে বসানো হচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটি। তারের সাথে তার জুড়ে তৈরি হচ্ছে আলো ও শব্দের ব্যবস্থা। আগত দেশি বিদেশি মুসল্লিদের ইবাদত নির্বিঘ্ন করতে টয়লেটের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সহায়তায় তুরাগ নদীতে তৈরি করা হয়েছে ৬ টি ভাসমান সেতু।
এখনো চলছে ইজতেমার মূল মঞ্চ নির্মাণের কাজ। সাথে এগিয়ে চলেছে মাঠের বাকি অংশগুলোতে সামিয়ানা টানানোর কাজও। কর্মীরা বলেন, লোক জনের যেনো কন সমস্যা না হয় লাইন করা হচ্ছে। আল্লাহ আমাদের সুযোগ দিছেন। তাই মন থেকে কাজ করছি। দুনিয়াতে কিছু করার জন্যে নয় আখেরাতে কামিয়াব হতে কাজ করছি আমরা।
গেল কয়েকবারের মত এবারো ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে দুই ভাগে। প্রথম পর্বে ১৪ টি ও দ্বিতীয় পর্বে ১৩ টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেবেন। বাকি জেলা গুলোর মুসল্লিরা অংশ নিবেন আগামী বছর। এছাড়া এবার প্রায় ১৫০ টি দেশের মুসল্লিও অংশ নিবেন ইজতেমায়।
আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা ছাড়াও পুরো ময়দানকে ঘিরে ফেলা হবে নিরাপত্তার চাদরে। খিত্তায় খিত্তায় থাকবে সাদা পোশাকে পুলিশ। অতিরিক্তি ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নাই। আমরা সকলেই সচেষ্ট থাকবো যারা আসবেন তারা যেন নিরাপদে শান্তিপূর্ণ ভাবে আল্লাহর ইবাদত করতে পারেন। আগামী ১৪ই জানুয়ারি প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতের পর চারদিন বিরতি দিয়ে ১৯শে জানুয়ারি শুরু হবে ৩ দিনের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।