দুই দুর্নীতি মামলার শুনানিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারও আদালতে যাচ্ছেন না মামলা দুটির প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরে গত ২৬ নভেম্বরও এ আদালতে হাজিরা দেননি খালেদা। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে গত সোমবার নাইকো দুর্নীতি মামলায় নবম বিশেষ জজ আমিনুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।
খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আজ বুধবার জানান, দীর্ঘদিন বিদেশ সফর শেষে বিশ্রামে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি পুরোপুরি সুস্থও হননি। এ কারণে বৃহস্পতিবার আদালতে যাচ্ছেন না। আগামী ধার্য তারিখে হাজিরা দেবেন। বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পাঁচজন সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা এবং পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। উচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল থাকায় আসামিপক্ষের আবেদনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রেখেছেন আদালত।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।