মানিকগঞ্জের বালিরটেক বাজারের একতা ক্লিনিকে সিজারের সময় মাথার কিছু অংশ কেটে ফেলায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডাক্তারের অবহেলাকেই দায়ী করছেন নবজাতকের পরিবার।
জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার ভারারিয়ার গ্রামের প্রবাসী মিশুক রানার স্ত্রী মাকসুদা(২৪) বালিরটেক বাজারের একতা ক্লিনিকে ডাক্তারের কাছে আসেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সব ঠিক আছে বলে অপারেশন করেন ডাঃ মো. নাজমুল হাসান। এসময় ডাক্তারের কাচির আঘাতে নবজাতকের মাথায় মারাত্বক ক্ষত হয়। ডাঃ নবজাতকের মাথায় সেলাই দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দ্রুত সটকে পড়েন। রক্তক্ষরনে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে ডাঃ বলেন ঠান্ডাজনিত কারণে এ অবস্থা হয়েছে তাকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।সোমবার সকাল ৭টায় ঢাকা নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
মৃত নবজাতকের মামা রাসেল বলেন, মৃত্যুকে মেনে নিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাই। কিন্তু গোসল করানোর সময় শিশুর মাথায় সেলাই ও ক্ষতচিহ্ন দেখে বুঝতে পারি ডাক্তরের ভুলে কাচির আঘাতে শিশুটি মারা গেছে। সুচতুর ডাক্তার বিষয়টি গোপন রেখে মাথায় ব্যান্ডেজ করে দিয়েছিল। যা আমরা আগে দেখিনি। মাথায় সেলাই ও ক্ষতচিহ্ন দেখে নবজাতক কে পুনরায় ক্লিনিকে নিয়ে আসি। কর্তৃপক্ষ কোন দায়িত্ব নিচ্ছে না।
স্বজনরা আরও জানান, যে ডাক্তার ও নার্স অপারেশন করেছেন তারা ভুয়া।
ক্লিনিকের মালিক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ডাক্তার ও নার্স নিয়োগের সময় তাদের কোন কাগজপত্র রাখা হয়নি। ডাঃ মোঃ নাজমুল হাসান অপারেশন করেছেন। তিনি অপারেশনের ডাক্তার কিনা আমি জানি না।
শিশু মৃত্যুর বিষয়ে অভিযুক্ত ডাঃ মো. নাজমুল হাসান এর মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায় প্রাথমিকভাবে শিশুটির মাথায় ক্ষত ও সেলাইয়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।