রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে অবশেষে বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে গঠন হল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ। কবে, কিভাবে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে তা নির্ধারণে কাজ করবে এই কমিটি। মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। তবে কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে তা স্পষ্ট করতে না পারলেও শিগগিরই এই কমিটি কাজ শুরু করবে বলে ব্রিফিং-এ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত মাসেই দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিডোতে করা সমঝোতায় উল্লেখ ছিল তিন সপ্তাহের মধ্যে গঠন তরা হবে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ। নির্ধারিত সময়ে সম্ভব হয়নি তা। তবে কয়েক দফা চিঠি চালাচালির পর মঙ্গলবার সকালে দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের নেতৃত্বে শুরু হয় বৈঠক।
বৈঠকে যোগ দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে কার্যপদ্ধতি কি হবে, কখন শুরু করা হবে কাজ এসব বিষয়ে চলে দীর্ঘ আলোচনায়। যেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে থেকে এ কমিটির কাজে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হলেও মিয়ানমার সীমিত পরিসরে করতে চায় কমিটি। এছাড়া কারা থাকবেন কমিটি নেতৃত্বে, কিংবা সদস্য থাকছেন কারা, তা নিয়েও চলে দর কষাকষি।
প্রায় ৪ ঘন্টার বৈঠকের পরে সম্মত হয় দুপক্ষ। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কমিটি গঠনে লিখিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এ কমিটি গঠনের ফলে কাজে গতি আসবে, শীগগিরই শুরু করা যাবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। কমিটিতে নেতৃত্ব দেবেন দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী। ১৫ সদস্য করে দুদেশের ৩০ জন সদস্য কাজ করবেন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপে।