জয় দিয়ে আসর শেষ করেছে চিটাগং ভাইকিংস। নিয়মরক্ষার ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে ৪৫ রানে হারিয়েছে সৌম্য সরকারের দল। টস হেরে আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে ১৯৪ রান করে চিটাগং। জবাবে, ব্যাট করতে নেমে, ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। জিতলেও ১২ ম্যাচে তিন জয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সবার শেষে আছে চট্টগ্রাম। সমান ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে থেকে আসর শেষ হয়েছে রাজশাহীর।
মিরপুর শেরে ই বাংলায় স্বস্তিতে লুক রঙ্কি। আসরে সবচেয়ে হতাশাজনক পারফরমেন্স চিটাগং ভাইকিংসের। ১২ ম্যাচে জয় পেয়েছে মাত্র তিনটিতে। শেষটায় রাজশাহীর রাজাদের দর্প চূর্ণ করে ৪৫ রানের জয় অন্তত সান্তনা নিয়ে ফিরেছে চট্টগ্রামের দলটি। চট্টগ্রামের জয়ে হতাশাই সঙ্গী হয়েছে গেল আসরের রানার্সআপ রাজশাহীর।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে চট্টগ্রাম ভাইকিংসের। রাজশাহী বোলারদের বেশ ভালভাবে মোকাবেলা করেন দুই ওপেনার লুক রঙ্কি ও লুইস রিস। শুরুতে একবার রনি তালুকদারের ভুলে জীবন পান রঙ্কি। এরপর আর কোন ভুল করেননি। দুজনের ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন মিরাজ। লুক রঙ্কি বিদায় নেন ৪২ রানে।
অধিনায়ক ফিরে গেলেও, সৌম্যকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিস। মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ১৭ রানে আউট হন সৌম্য। তবে, রাজশাহী বোলারদের তুলোধুনা করে ছেড়েছেন রিস। সিকান্দার রাজাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে খেলেন ৫৬ বলে ৮০ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। রাজা করেন ২০ বলে ৪২ রান।
ঢাকায় ফেরার পর থেকেই সমালোচনায় জর্জরিত হয়েছে মিরপুরের উইকেট। তবে, এ ম্যাচে বাজে উইকেটেও ঠিকই বড় স্কোর পেয়েছে চট্টগ্রাম ভাইকিংস। ১৯৫ রানের কঠিন পথ পাড়ি দিতে গিয়ে শুরুতেই রনি তালুকদারের উইকেট হারিয়ে হোঁচট খেয়েছে রাজশাহী।
রনির পর সানজামুলের জোড়া আঘাতের শিকার মুমিনুল। দুঃসময়ে হাল ধরেন সামিত প্যাটেল। রিসের বলে আউট হওয়ার আগে পাঁচ ছয় ও ছয় চারে ২৬ বলে খেলেন ৬২ রানের ঝরো ইনিংস। প্যাটেলের বিদায়ের পর অনেকটা হাল ছেড়ে দেন বাকি ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক মুশফিক ১৫, জাকির হাসানের ১৯ রান ছাড়া পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন টেল এন্ডাররা। আর তাতেই মাত্র ১৪৯ রানেই থেমে যায় রাজশাহীর রাজাদের ইনিংস।