২০১৮ সালের জন্য সাড়ে ২২ বিলিয়ন ডলার মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ। এত বিপুল পরিমাণ অর্থের সাহায্যের আবেদন এবারই প্রথম করল জাতিসংঘ।
বিশ্বের নানা স্থানে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অন্যান্য কারণে মানবিক সংকটে বিপন্ন মানুষদের সহায়তায় রেকর্ড পরিমাণ এ সাহায্যের আবেদন করল জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের অন্তত ১৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষের জন্য এই সাহায্য প্রয়োজন, যাদের ৯ কোটি ১০ লাখই চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
কেবল সিরিয়া ও ইয়েমেনের জন্যই সাহায্য হিসেবে ১০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ। মানবিক সাহায্যের চাহিদা বাড়ছে আফ্রিকাতেও।
জাতিসংঘের এ বিষয়ক সমন্বয়ক মার্ক লুকক জানান, মধ্য প্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোতে সংঘাত-সহিংসতার কারণে মানবিক সাহায্য প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা আগের তুলনায় ৫ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে।
গত বছর জাতিসংঘ যে পরিমাণ সাহায্য চেয়েছিল এবার তার চেয়ে অন্তত ১ শতাংশ বেশি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে; এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘ মানবিক সাহায্য হিসেবে রেকর্ড ১৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে পেরেছে বলেও রয়টার্স জানিয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, আগামী বছরের জন্য যে সাহায্য চাওয়া হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার জন্যই তার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রয়োজন। সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার লাগবে দেশটির ভেতরে ঝুঁকির মধ্যে থাকা অধিবাসীদের মানবিক সাহায্যে।
আশপাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে নিবন্ধিত এমন সাড়ে ৫ কোটি সিরীয়র জন্য লাগবে আরও ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
ইয়েমেনের ঝুঁকির মধ্যে থাকা অধিবাসীদের জন্য এখনি আড়াই বিলিয়ন ডলার দরকার বলেও মন্তব্য জাতিসংঘের।
দেশটির অন্তত ২ কোটি লোককে মানবিক সাহায্য দেওয়া দরকার হলেও ঝুঁকির মধ্যে থাকা এক কোটি ১০ লাখ শিশু ও ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার ৪ লাখ ইয়েমেনির জন্যই কেবল মানবিক সাহায্যের চিন্তা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
এর বাইরে কঙ্গো, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, সাউথ সুদান ও সুদানের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্যও অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার করে প্রয়োজন বলে বিবৃতিতে বলেছে জাতিসংঘ।