যমজ সন্তানের একজনকে পেটে রেখে অস্ত্রোপচার শেষ করার ঘটনার শিকার খাদিজাকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক হোসেন আরা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে (বিএমডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ব্যবস্থা নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত চিকিৎসক হোসনে আরা বেগমকে অস্ত্রোপচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে সকালে হাইকোর্টে হাজির হন চিকিৎসক হোসনে আরা বেগম এবং লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।
খাদিজা নামের এক নারী দুটি বাচ্চার একজনকে পেটে রেখেই সেলাই করে অস্ত্রোপচার শেষ করার ঘটনা সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত ২৯ অক্টোবর আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মাহফুর রহমান মিলন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২২) গত ১৮ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখানে খাদিজার পেটে একটি সন্তান রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ করার অভিযোগ ওঠে ডা. শেখ হোসনে আরার বিরুদ্ধে।
গত ২৬ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে অস্ত্রোপচার করে খাদিজা বেগমের পেট থেকে ওই শিশুটিকে অপসারণ করা হয়।
আলট্রাসনোগ্রাফিতে যমজ সন্তানের কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরের ‘লাইফ হসপিটাল’-এর চিকিৎসক হোসনে আরা বেগম গত ১৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের সময় একটি সন্তান গর্ভে রেখেই সেলাই করে দেন। অন্য সন্তানকে টিউমার বলে জানিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। এতে গর্ভেই মারা যায় অনাগত সন্তান। তবে অস্ত্রোপচারে বের করা কন্যাসন্তান আদিবা ইসলাম এখন সুস্থ।