জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ৩০ নভেম্বর সপ্তম দিনের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক অসমাপ্ত বক্তব্য নেবেন বিশেষ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়ার করা স্থায়ী জামিনের আবেদন নাকচ করে এই তারিখ দেওয়া হয়।
এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও হাজিরা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। হাজিরায় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আদালতের পুশ্নের মুখে তিনি আরো জানান, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের প্রয়োজনে তিনি আদালতে কাগজপত্র জমা দেবেন এবং প্রয়োজনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্যও দেবেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুটি মামলারই প্রধান আসামি তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন।
অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়।
আর ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।