চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। আজ মঙ্গলবার এশিয়া-ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন আসেমের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
তবে এ সঙ্কটের সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী স্টেট কাউন্সেলর। রয়টার্স জানিয়েছে, নেপিদোতে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর জোট-আসেমের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের শেষ দিন মঙ্গলবার সু চি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বুধ ও বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক হবে জানিয়ে সু চি বলেন, আমরা আশা করছি, এই আলোচনার ফলাফল হিসেবে শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক সই করা সম্ভব হবে, যাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যাওয়া সবাইকে নিরাপদে ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়।
এর আগে সোমবার আসেম সম্মেলনের সাইডলাইনে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হয়। এশিয়া ও ইউরোপের ১৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ের রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন। সেই সঙ্গে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ওই অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন এবং সম্মেলনের ফাঁকে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন।
এসব বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে মঙ্গলবার তিনি সময় টিভিকে বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে সঙ্কট সমাধানে সেহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। মাহমুদ আলী বলেন, মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সু চির সঙ্গে বুধবার বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক রয়েছে।
সেখানেও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে গত মাসে আলোচনা শুরু হলেও শর্ত নিয়ে এখনও সমঝোতায় আসতে পারেনি দুই দেশ।