বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি গ্রহণকারী হাইকোর্টের তিন বিচারপতিকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার স্ব-প্রণোদিত হয়ে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতিরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই আদেশ দেন।এই বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।হাইকোর্টের এই বেঞ্চেই পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা মামলায় দায়ের করা সকল ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন চলছে।২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত।ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তাদের আইনজীবীরা।গত ৪ জানুয়ারি রাতে সকল ডেথ রেফারেন্স ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চটি গঠন করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। প্রথমবারের মতো এ বেঞ্চ বসে ৫ জানুয়ারি। ওইদিন এ মামলার শুনানির জন্য ১৮ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করে দেন বিশেষ বেঞ্চ। এরপর ১৮ জানুয়ারি থেকে শুনানি শুরু হয়।পিলখানায় সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে মোট সাজাপ্রাপ্ত ৫৭৫ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত হন তৎকালীন ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জন বিডিআর সদস্য। তাদের মধ্যে ১৪ জন পলাতক রয়েছেন।বিশ্বের ইতিহাসে একটি মামলায় সবচেয়ে বেশি আসামির ফাঁসির আদেশের রেকর্ড গড়েছে এ রায়টি। এছাড়া বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু (প্রয়াত) ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৬২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
বিডিআর বিদ্রোহ মামলা : বিচারকদের নিরাপত্তার নির্দেশ
Share!