মরদেহ কে পাবে,আইনি এমন দ্বন্দ্বে সাড়ে তিন বছর ধরে হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে নিপা রানীর লাশ। ভালোবেসে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার কারণে মরদেহ নিয়ে এমন আইনি লড়ায়ে জড়িয়ে পড়েন ছেলে ও মেয়ের পরিবার। মামলাটি বিচারিক আদালত ঘুরে দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে বিচারাধীন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে মরদেহ হস্তান্তর করতে পারেনি রংপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র আইনজীবীরা বিষয়টিতে আইনের অমানবিক দিক উল্লেখ করে দ্রুত উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
ভালোবাসা এরপর ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে । এভাবেই কাটছিলো লাইজু ও নিপা রানী ওরফে হোসনে আরার দিন। কিন্তু বাধঁসাধে নিপার পরিবার। নিপা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় লাইজুর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে পার পরিবার। এ মামলায় লাইজু নেয়া হয় কারাগারে। নিপাকে রাখা হয় নিরাপত্তা হেফাজতে। পরে নিপাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয় তার পরিবার। লাইজুও জেল খেটে বের হন। কিছুদিন পর লাইজু বিষ খেয়ে মারা যান। নিপাও শোকে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
এরপর লিপার মরদেহ দাবি করে আদালতে মামলা করে দু’পক্ষই। এ মামলাটি নিম্ন আদালত ঘুরে বর্তমানে উচ্চ আদালতে দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন রয়েছে । এতোদিনেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ই মার্চ থেকে নিপার মরদেহটি হাসপাতালের মর্গেই পড়ে আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার বার চিঠি দিলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
এতদিন পর এখন দুপক্ষই বলছে,উচ্চ আদালত যাকে মরদেহ দিবে সেটাই নিবেন তারা।
যদিও সাড়ে তিনবছরেও উচ্চ আদালতে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির কোন উদ্যোগ নেয়নি মামলার বাদী-বিবাদী। আইনি জটিলতা শেষে দ্রুত নিপার মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হোক এমনটায় প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।