ম্যাচের একটা পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাচ্ছিল খুলনা টাইটানস। বড় স্কোর তখন দুরের স্বপ্ন ছিল কিন্তু ৬ নম্বরে যখন ব্রাথওয়েট এলেন, সকল হিসাব গোলমাল হয়ে গেল।
ঢাকা ডায়নামাইটসের তিন তারকা স্পিনার কিংবা আবু হায়দারের মতো পেসারদের তুলোধুনো করে ছাড়লেন তিনি। ৪ বাউন্ডারি ৬ ওভার বাউন্ডারিতে করলেন ২৯ বলে অপরাজিত ৬৪ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়াল ৫ উইকেটে ১৫৬ রান।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা টাইটানস। দলীয় ২২ রানেই ঢাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে আবু হায়দারের তালুবন্দি হন মাইকেল ক্লিঙ্গার (১০)। ৭ রানের ব্যবধানে খুলনার দূর্গে দ্বিতীয় আঘাত হানেন রনি-সাকিব জুটি। এবার আবু হায়দার রনির বলে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষের (২) ক্যাচ নেন সাকিব।
নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে বেশ আত্মবিশ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছিল শুরু থেকেই। তবে ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত বড় হল না।
ক্যারিবীয় ‘রহস্য’ স্পিনার সুনিল নারাইনের বলে ২৫ বলে ২৪ রান করে ফিরলেন এই তরুণ। খুলনার চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটান পাকিস্তানি স্পিনার শহিদ আফ্রিদি। তার বলে খুলনার সবচেয়ে বড় উইকেট অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ (১৪) জহুরুলের তালুবন্দি হন।
রিয়াদকে হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় খুলনা টাইটানস। একপ্রান্ত আগলে রাখছিলেন রুশো। আবু হায়দারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৩৪ রানে ফেরেন তিনি। কিন্তু খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। এই ক্যারিবিয়ান ৬ নম্বরে নেমে বিধ্বংসী হাফ-সেঞ্চুরি করে খুলনা টাইটানসকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রাথওয়েট। এই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে বাউন্ডারি মাত্র ৪টি মারলেও ছক্কা মেরেছেন ৬টি!