২৫ কোটি টাকা না দিলে নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শওকত চৌধুরীর জামিন বাতিল হবে বলে হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল তা আরো তিন সপ্তাহ বাড়িয়েছে আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই সংসদ সদস্যকে এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।প্রসঙ্গত, গত ২২ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫০ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে জমা না দিলে এমপি শওকতের জামিন বাতিল হবে বলে রায় দিয়েছিল। এরপর শওকতের আবেদনে গত ২৯ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশ দুই সপ্তাহ স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ।
এ ব্যাপারে এমপি শওকতের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হাইকোর্টের আদেশের কপি এখনো পাইনি। এ জন্য সময় আবেদন করেছি। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৮ ও ১০ তারিখে শওকত চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এর মধ্যে এক মামলায় ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা এবং আরেক মামলায় ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শওকত চৌধুরী তিনটি কম্পানির নামে ৩৪টি এলসি খুলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি ড. আসাদুজ্জামান, বংশাল শাখার ম্যানেজার হাবিবুল গণিসহ আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন।