নিজস্ব প্রতিবেদক: তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরে সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে ঢাকায় শুরু হলো কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সংসদীয় পর্যায়ের সম্মেলন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স (সিপিসি)।
সম্মেলনে যোগ দিতে এরই মধ্যে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জাতীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্যসহ আমন্ত্রিত প্রতিনিধিরা।
সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবনা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন সিপিএ মহাসচিব আকবর খান। পাশাপাশি এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সংসদীয় পর্যায়ের ৬৩তম সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার সকাল থেকেই ঢাকায় আসতে শুরু করেন প্রায় ৪৫টি দেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ সম্মেলনে নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন, তথ্যপ্রযুক্তি, জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাবে।
সিপিএ মহাসচিব আকবর খান বললেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জনপ্রতিনিধিদের মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে। এতে অংশ নেয়া প্রতিনিধিরা সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবনা নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
সম্মেলনের মূল পর্বে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা না হলেও, সিপিএ নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন গ্রুপ পর্বের আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট গুরুত্ব পাবে বলে জানান সিপিএ মহাসচিব। এর ফলে এ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
বুধবার থেকে সম্মেলন শুরু হলেও, মূল পর্ব শুরু হচ্ছে আগামী ৫ নভেম্বর। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মূল আয়োজনের উদ্বোধন করবেন সিপিসি’র ভাইস-পেট্রন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সিপিএ সম্মেলন ২০১৭।