এবার আর বেসামরিক সরকার নয়, রোহিঙ্গা গণহত্যার মূল হোতা ‘তাতমাদো’র (মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর দাপ্তরিক নাম) সর্বাধিনায়ক সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নৃশংসতা ও চলমান মানবিক সংকটে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের ফেরার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর নিজেকে শোধরানো ও পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এটি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি বড় ধরনের হুঁশিয়ারি। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বেশ কিছু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা ওই দেশটির সামরিক বাহিনীর ওপর অবরোধ আরোপের শামিল। পরিস্থিতির এখনো উন্নতি না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন অত্যন্ত মর্মাহত : রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন ও গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি শুরু করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন জাস্টিস ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড। বাংলাদেশে এসে ইতিমধ্যে প্রায় ছয় হাজার রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর কাছ থেকে জাতিগত নিধন, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনও ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ওই মিশনের সদস্যরা গত সপ্তাহজুড়ে বাংলাদেশ সফর করেন। তাঁরা ইতিমধ্যে কক্সবাজার এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখেছেন। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ ওই মিশন জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে প্রতিবেদন জমা দেবে।
এটিও পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্বকে বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশ সফর শেষ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ থাকে তবে তারা এর জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, আগুন দেওয়া এবং অন্যান্য অপরাধের ঘটনা জেনে তারা ‘চরম মর্মাহত’ হয়েছে। মিশন প্রধান মারজুকি দারুসমান বলেন, ‘আমরা সফর শেষে অত্যন্ত বিরক্ত। আমরা উত্তর রাখাইনের বিভিন্ন গ্রামে বসবাসকারী অনেক লোকের ঘটনা শুনেছি। তারা বলেছে, পরিকল্পিত এবং ধারাবাহিক কার্যকলাপের মাধ্যমে সেখানে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, এর পরিণামে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ’
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের আরেক সদস্য রাধিকা কুমারাস্বামী বলেছেন, যে দুর্দশা ও নৈরাশ্য দেখেছেন, তাতে তিনি ‘মর্মাহত এবং রাগান্বিত। ’
তিনি বলেন, ‘আমার এই দীর্ঘ কর্মজীবনে বিভিন্ন সমস্যার ভেতর দিয়ে কাজ করতে গিয়ে যেসব যৌন নিপীড়নের ঘটনা শুনেছি, এখানকার ঘটনা তার সবচেয়ে খারাপগুলোর সঙ্গে তুলনীয়। ’
রাধিকা বলেন, ‘আমি একজনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছি। তার চোখে যে মানসিক আঘাতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে, সেটি অত্যন্ত দৃশ্যমান। এ ধরনের অপরাধের বিচার না হওয়াটা কখনো ঘটতে দেওয়া যাবে না। ’
অপর সদস্য ক্রিস্টোফার ডমিনিক সিডোটি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে দিতে হবে। অন্যদিকে ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ছয় লাখ পাঁচ হাজার। আগে থেকে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা যোগ করলে ইতিমধ্যে এ দেশে মিয়ানমারের রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন : যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার অনলাইন সংস্করণে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপে বিল উত্থাপন অন্যতম। তবে অনেকে বলছেন, কংগ্রেসে বিল আনার অপেক্ষা না করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাহী আদেশ জারি করেই মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে পারেন। এতেই তাত্ক্ষণিক ফল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার ওই ফোন করেন বলে তাঁর দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্মার (মিয়ানমারের) নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা থামাতে সরকারকে সমর্থন করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি এ সংকটে বাস্তুচ্যুত, বিশেষ করে রোহিঙ্গা নৃগোষ্ঠীর বিপুলসংখ্যক সদস্যকে ১৯৯২ সালের বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ বিবৃতির আলোকে আর দেরি না করে তাদের বাড়িঘরে নিরাপদে ফেরার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। ’
মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট আরো বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পৌঁছানো, গণমাধ্যমের প্রবেশ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের সব অভিযোগ তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পূর্ণাঙ্গ ও স্বতন্ত্র তদন্তে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। ’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলারও নিন্দা জানিয়েছেন। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে ফোন করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে টিলারসন গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়া সফরে আসেন। আফগানিস্তান, পাকিস্তান সফরের পর গত বুধবার তিনি ভারতে এসে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা করেছেন। এরপর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গিয়ে তিনি গত বৃহস্পতিবার চলমান বৈশ্বিক মানবিক কয়েকটি সংকট নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কাজ করছে। এরই মধ্যে তিনি বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সিনিয়র জেনারেলকে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি প্রত্যাশাগুলো তুলে ধরেন।
টিলারসনের এ উদ্যোগকে বাংলাদেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেছেন, তাঁরা একে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের অংশ হিসেবে দেখছেন।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের সঙ্গে আলোচনায় ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ বিবৃতির আলোকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও ঢাকার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ওই সমঝোতা অনুসরণের ক্ষেত্রে জটিলতার কথা কূটনৈতিক সম্প্রদায়কে জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে এ বিষয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন। ১৯৯২ সালের যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে যে উপায়ে পরিচয় যাচাই করার কথা বলা হয়েছে বর্তমান বাস্তবতায় তা ফলপ্রসূ হবে না বলেই বাংলাদেশ মনে করে। কারণ মিয়ানমার বাহিনী ও তাদের দোসররা এবার রোহিঙ্গাদের এমনভাবে বাস্তুচ্যুত করতে চেয়েছে যাতে তাদের বসতবাড়ির কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকে এবং তারা যাতে আর কোনোভাবেই ফিরতে না পারে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও এ বিষয়টি উঠে এসেছে। এ কারণেই বাংলাদেশ মিয়ানমারকে নতুন করে প্রত্যাবাসন চুক্তি করার প্রস্তাব দিয়েছে।
লর্ড সভায় রোহিঙ্গা গণহত্যা : ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লর্ড সভায় গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কনজারভেটিভ দলের ব্যারোনেস হেলিক গত ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় নেওয়ার তথ্য তুলে ধরে বলেন, এটি সিরিয়া সংকটের ফলে বাস্তুচ্যুতির মাত্রার চেয়েও বেশি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম শরণার্থী সংকট হয়ে উঠেছে। ব্যারোনেস হেলিক তাঁর নিজের জন্মভূমি সের্বেনিৎসার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সেখানে ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীর নাকের ডগায় মাত্র এক সপ্তাহান্তে সাড়ে আট হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। অতীতে গণহত্যা ও জাতিগত নিধন থামাতে বৈশ্বিক ব্যর্থতা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অন্যদের চেয়ে নিজেদের বড় ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। মিয়ানমারে আজ যা ঘটছে তা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রাখে। তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। পার্লামেন্টে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা মেটানো, সুরক্ষা এবং নিজ দেশে ফেরা নিশ্চিত করার ওপর সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। তিনি প্রশ্ন রাখেন, জাতিসংঘ যেখানে রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমারের আচরণকে আক্ষরিক অর্থেই জাতিগত নিধন বলছে, সেখানে দেশটিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে যুক্তরাজ্য কী করছে?
লেবার দলের ব্যারোনেস কিনক বলেন, সংকট সামাল দিতে যুক্তরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার যথার্থই বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর আক্ষরিক অর্থেই জাতিগত নিধনযজ্ঞ চলছে। তিনি ব্রিটিশ সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় শুনেছি, এ ধরনের ঘটনা আর কখনো ঘটবে না। অথচ বারবার গণহত্যা হয়েছে আর আমরা শোকে মুষড়ে পড়েছি। ’
লিভারপুলের লর্ড অ্যালটন বলেন, মিয়ানমার বাহিনী জঙ্গি দমন নয়, রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। সেখানে যা চলছে তা গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। কভেন্ট্রির লর্ড বিশপ ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপকে উদ্ধৃত করে রোহিঙ্গাদের সব অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠাই একমাত্র সমাধান। ব্যারোনেস বেরিজ বলেন, ২০০৮ সালে মিয়ানমারের জান্তা সরকার বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করেছে। রোহিঙ্গাসহ সব নৃগোষ্ঠীর মতকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। ব্যারোনেস শিহান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাজ্যকে তার বৈশ্বিক প্রভাব কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। আরো কয়েকজন সদস্য মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির অক্ষমতা তুলে ধরেন।
এদিকে রোহিঙ্গা সংকট অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে চরমপন্থা আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মিয়ানমারে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তিনি এ সংকটের দ্রুত সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কয়েক দশক ধরে চলা বৈষম্যের কারণে আইন, জাতীয় নীতিমালাসহ সব কিছু থেকে রোহিঙ্গারা বঞ্চিত। এ কারণে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতি রাখাইনসহ পুরো অঞ্চলে মৌলবাদের উত্থানের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।