সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আগামী ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান উপস্থিত থাকবেন।
গত মাসে দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপারসন শেখ লতিফা বিনতে মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে তাকে সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, ‘ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট’ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নেতৃত্বে ২০১৩ সালে গঠিত সরকারসমূহের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফরম। বিগত এক দশক ধরে প্ল্যাটফরমটি ১৪০টি দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, চিন্তাবিদগণ, বৈশ্বিক সিদ্ধান্তগ্রহীতা এবং বেসরকারি নেতাদের একত্রিত করার মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের রূপরেখা প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের সম্মেলন সরকারসমূহের মধ্যে কার্যকরী অংশীদারি ও বৈশ্বিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যকার সেতুবন্ধ সৃষ্টিতে প্ল্যাটফরমটির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।
মানবপাচারের বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘দালালচক্রের কবলে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে আমরা জানতে পেরেছি যে একটি বাংলাদেশি এজেন্সি রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হয়। ইতোমধ্যেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মস্কোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি যে, রাশিয়ায় মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকা চক্রের একজনকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকালীন সময়ে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গমনেচ্ছু বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অথবা, যাদের পাসপোর্টে রাশিয়া ভ্রমণের বৈধ ভিসা আছে তাদের জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ‘কঙ্গো শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের সবাই নিরাপদ আছে উল্লেখ করে রফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ সরঞ্জাম নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।