পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে শুক্রবার এবং শনিবার প্রতিটি জেলায় অনলাইন-অফলাইনে গণসংযোগ। এছাড়া রবিবার (১২ জানুয়ারি) জেলায় জেলায় মানববন্ধন করবে বিডিআর থেকে চাকরিচ্যুত সদস্য ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিম সরকার এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে। এ নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১৯ জানুয়ারি শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে বাধা দেয়া হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ আছে।
কর্মসূচি সফল করার জন্য সব শ্রেণী পেশার মানুষকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে মাহিম সরকার বলেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসে ততদনি কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে দুপুরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃ তদন্ত এবং চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার ও ছাত্র-জনতা।
কর্মসূচির কারণে কাঁটাবন-ফার্মগেট-মতিঝিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই পথগুলোতে চলাচলকারী পরিবহনের যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা গেছে।
এদিন দুপুরে একই দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে সেখান থেকে তাদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যায়।