২০০৭ সালে প্রথমবার ফিফার বর্ষসেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৭ বছর। লিওনেল মেসির নাম প্রতি বছরই থাকতো বর্ষসেরা একাদশের তলিকায়। তবে দীর্ঘ সময় পর এবার এর ব্যতিক্রম ঘটল। পেশাদার ফুটবলের সংগঠন ফিফপ্রো ঘোষিত ২০২৪ সালের বর্ষসেরা একাদশে ঠাই হয়নি মেসির।
আধুনিক ফুটবলের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি প্রায় দেড় যুগ বিশ্ব একাদশে জায়গা ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে সেই ধারায় ভাটা পড়ল। ২০২৩ সালের আগে মেসির দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো টানা ১৬ বছর বিশ্ব একাদশে ছিলেন। এবার পর্তুগিজ মহাতারকাকেও ভোট দেননি সতীর্থরা।
ইন্টার মায়ামির মেসি ও আল নাসরের রোনালদো ২৬ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নির্বাচিত হয়ে সপ্তাহখানেক আগে আলোচনায় এসেছিলেন। ইউরোপের বাইরের লিগে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে শুধু মেসি-রোনালদোই সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পান। এদিকে, লিভারপুলের হয়ে একের পর গোলের দেখা পাওয়া মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহও তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
বিশ্ব একাদশের তালিকায় প্রিমিয়ার লিগের পাঁচ খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড, কেভিন ডি ব্রুইনে, এডেরসন ও ব্যালন ডি’র বিজয়ী রদ্রি সেরা একাদশে রয়েছেন। লিভারপুলের অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইকও দলে জায়গা করে নিয়েছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদের রয়েছেন সর্বোচ্চ ছয়জন। কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে আরো রয়েছেন রিয়াল তারকা এন্টোনিও রুডিগার, সানি কারভাহাল ও সদ্য অবসরে যাওয়া টনি ক্রুস।
ডিফেন্ডার: দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ, স্পেন), ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস) এন্টোনিও রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ, জার্মানি)
মিডফিল্ডার: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড), কেভিন ডি ব্রুইনে (ম্যানচেস্টার সিটি, বেলজিয়াম), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ, জার্মানি), রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি, স্পেন)
ফরোয়ার্ড: আর্লিং হালান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি, নরওয়ে), কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি/রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ, ব্রাজিল)