ইউক্রেন মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো মার্কিন সরবরাহকৃত দূরপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়া এদিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ওয়াশিংটন এর এক দিন আগেই এ ধরনের হামলার অনুমতি দিয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকালে চালানো এই হামলায় পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে এবং একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি সামরিক স্থাপনায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমেও মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে তারা দাবি করেছে, এই হামলায় মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ইউক্রেন সরকার এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, এই হামলা চালানো হয় স্থানীয় সময় মধ্যরাত ৩টা ২৫ মিনিটে। ধ্বংসাবশেষের কারণে সৃষ্ট আগুন দ্রুত নেভানো হয়েছে এবং এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছে মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এর আগে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি গোলাবারুদের গুদামে আঘাত হানার কথা নিশ্চিত করেছিল। তবে তারা এটিএসিএমএস ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেনি।
তারা জানিয়েছিল, সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে কারাচেভ শহরের কাছে এই হামলার ফলে পরবর্তীতে ১২টি বিস্ফোরণ ঘটে।এই হামলাটি প্রথমবারের মতো রাশিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ডে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা। ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে রাশিয়ার দিকে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অনুমতি দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পর এ হামলা হলো। মস্কো সোমবার বলেছিল, এ ধরনের হামলা হলে তারা যথাযথ ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এদিকে মঙ্গলবার পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক নীতি পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছেন।
এতে কোন পরিস্থিতিতে রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে সে বিষয়ে নতুন শর্তাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন বলা হয়েছে, যদি একটি পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন রাষ্ট্র কোনো আক্রমণ চালায় এবং তা যদি একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এতে সমর্থন করে, তবে সেটি রাশিয়ার ওপর যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।