সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১ জেলার এখনো পানিবন্দি রয়েছে ৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬৭টি পরিবার। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫১ লাখ ৮ হাজার ২০২ মানুষ। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৭ জন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এবারের বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, লক্ষীপুর ও কক্সবাজারসহ মোট ১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে এখনো পানিবন্দি ৬ লাখ ৫ হাজার ৬৭৬টি পরিবার। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৭ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন, নারী সাতজন এবং শিশু ১৮ জন।
জেলাভিত্তিক মৃত্যু কুমিল্লায় ১৭ জন, ফেনীতে ২৬ জন, চট্টগ্রামে ছয়জন, নোয়াখালীতে ১১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুর একজন, কক্সবাজারে তিনজন, মৌলভীবাজারে একজন। আর নিখোঁজ লোকসংখ্যা একজন। তার বাড়ি মৌলভীবাজার।
দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোর মধ্যে বর্তমানে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও কক্সবাজার জেলায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
বন্যায় পানিবন্দি রয়েছেন ছয় লাখ ৫ হাজার ৭৬৭ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ লাখ ৮ হাজার ২০২ জন মানুষ। পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয়ের জন্য তিন হাজার ৬১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তিন লাখ ছয় হাজার ৭৪১ জন লোক এবং ৩২ হাজার ৮৩০টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন দুর্যোগ উপদেষ্টা।
এছাড়া, বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্থানীয় ক্লিনিক, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণ নির্দেশনা প্রদান করেছেন।