ফেসবুক থেকে শুরু করে অন্যান্য সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পণ্যের মূল্যতালিকাটি ‘ভুয়া’। সরকারি এমনকি সেনাবাহিনীর লোগো দিয়ে এ তালিকা প্রচারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তালিকায় সেনাবাহিনী ও শিক্ষার্থীদের নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকার সঙ্গে বাজারের পণ্যের মূল্যের মিল না পাওয়ায় সামাজিকমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এতে এ তালিকা ‘ভুয়া’ ও সরকারের পক্ষ থেকে পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে এমন কোনো তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
শনিবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সংবাদমাধ্যমে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি বাজার মূল্যতালিকা প্রচার করা হচ্ছে। যা অধিদপ্তরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তবে সরকার কর্তৃক বর্ণিত পণ্যসমূহের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। এছাড়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ভোক্তা সাধারণের প্রতি অনুরোধ করা হলো।
এদিকে বিভ্রান্তিকর এ তালিকায় আলু, পেঁয়াজসহ ১০টি পণ্যের দাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এ তালিকা অনুযায়ী, বাজারে পণ্য না কিনতে পারছে ভোক্তা সাধারণকে সেনাবাহিনীকে ফোন কল করা এমনকি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সেনাবাহিনী ও শিক্ষার্থীদের ফোন নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে সেনাবাহিনীর প্রকাশ করা একটি নম্বরে বেলা ১২টা ২৯ মিনিটে যুগান্তরের প্রতিবেদক কল করে মূল্য তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে সেনাবাহিনী পরিচয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বাজারে পণ্যমূল্যের কোনো তালিকা দেওয়া হয়নি। এ তালিকা পুরোটা ‘ভুল’ তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে। আর এ বিষয়টি বাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ব্যবস্থা নিতেও কাজ করা হচ্ছে।