২য় দফায় কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে আন্দোলনের পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন কোটা বাতিলের পক্ষের আন্দোলনকারীরা। কোটা ব্যবস্থায় স্থিতাবস্থা জারি করায় জনদুর্ভোগ বন্ধে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় না নামার অনুরোধ জানানো হয়েছিল ডিএমপির পক্ষ থেকে। পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আবারও সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ সেখানে (শাহবাগে) ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছিলাম রাস্তায় যেন না নামেন। গতকাল আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের অবকাশ নেই। আশা করেছিলাম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না। কিন্তু তারা নেমে পড়লেন।
মহিদ আরও বলেন, পুলিশের অবস্থান সেখানে রয়েছে। পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আশা করি, আজকেই এটা শেষ হবে। ফার্দার কিছু করবে না। পুলিশ চায় না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু হোক। তাদেরও বোঝা উচিত। তাদেরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। আশা করব তাদের বোধোদয় হবে।
উল্লেখ্য, ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে প্রথমে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় শাহবাগ থেকে এলিফ্যান্ট রোডগামী, বাংলা মোটরগামী, মৎস্য ভবনগামী ও টিএসসিগামী রাস্তায় যানচলাচল।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।