পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মূলত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আদালতের দেয়া বেনজিরের বিভিন্ন স্থাপনা জব্দের নির্দেশের পরেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যৌথভাবে রিসোর্টের নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেয়। আজ শনিবার (৮ জুন) সকাল থেকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পার্কের যাবতীয় কার্যক্রম চালু থাকবে।
এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবলী শবনম বলেন, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আমি আদেশ কার্যকর করার জন্য এখানে উপস্থিত হয়েছি এবং আদেশ কার্যকর করা হয়েছে। এখন থেকে এ সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক জেলা প্রশাসক।
দুদক গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, আজ সকাল থেকে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করা হবে ও সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এর পর থেকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় পার্কের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। আয়-ব্যয়সহ জনবল নিয়োগ ও দর্শনার্থী প্রবেশের বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা প্রশাসক।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর বেনজির গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কের জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়। তাদেরকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।