প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগর ও নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এদিকে সারাদেশে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। দুর্যোগ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বৃষ্টিপাত ৩০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রোববার (২৬ মে) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস. হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (২৭ মে) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা বলছে এ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টায় (১৮.২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়ের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে রোরবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিং এ ঘূর্ণিঝড়ের বিস্তারিত তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘এবার ঘূর্ণিঝড়ে সারাদেশেই ভারি বৃষ্টিপাত হবে। সারাদেশে ৩০০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথায় পানি ১২ ফুট পর্যন্ত উঠে যাবে। রাস্তা ডুবে যাবে, পাহার ধ্বস হবে বলে আশঙ্কা করছি।’
তিনি বলেন, ‘পাইপ লাইনের পানি সরবরাহেও সমস্যা দেখা দিতে পারে, যানজট হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি ঝড় চলে যাওয়ার পরে উদ্ধারকাজ দ্রুত করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’