বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে হৃদরোগ। প্রতিবছর এ রোগে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগে প্রতিবছর ৪০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। বুধবার (১৫ মে) আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিদিন ইউরোপে ১০ হাজার মানুষের হৃদরোগে মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া প্রতি বছর এ জটিলতায় প্রায় চার মিলিয়ন বা ৪০ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছেন। এজন্য সংস্থাটি ইউরোপীয়দের লবণ খাওয়া কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার তালিকায় নারীদের চেয়ে পুরুষ এগিয়ে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউরোপে গড়ে নারীদের তুললায় আড়াইগুণ বেশি পুরুষের হৃদরোগে মৃত্যু হয়।
ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ শাখার পরিচালক হ্যান্স ক্লাগ বলেন, ইউরোপের লোকজন প্রতিদিনের খাবারে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্তি লবণ গ্রহণে অভ্যস্ত। এটি এ রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ। খাবারে লবণের মাত্রা ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারলে ২০৩০ সাল নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা ৯ লাখ কমানো সম্ভব।
হ্যান্স ক্লাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুরোনো এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছে ইউরোপ। তিনি জানান, এ মহাদেশের ৩০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে গড়ে তিনজনে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, মানবদেহের জন্য প্রতিদিন মাত্র ৫ গ্রাম থেকে এক চা চামচ লবণ প্রয়োজন। কিন্তু ইউরোপের সব দেশের বেশিরভাগ লোক এর চেয়ে বেশি পরিমাণে লবণ গ্রহণে অভ্যস্ত। এরমধ্যে পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় পূর্ব ইউরোপে দেশে এ প্রবণতা বেশি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। আর উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশ বেড়ে যায়।