Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আবারও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করলেন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ আবারও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দক্ষিণ গাজার শহর রাফায় হামলা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, রাফায় যেকোনো সামরিক আক্রমণ চলমান খারাপ অবস্থাকে আরও শোচনীয় করবে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) টেলিফোনে এ দুই নেতার কথা হয়। পরে ফরাসি প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতির বরাতে আনাদুলু এজেন্সি এ খবর জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের নজিরবিহীন হামলার নিন্দা করেছেন ম্যাখোঁ। এ ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের বিপরীতে ইসরায়েলে সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার পুনঃব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় প্রতিশোধমূলক হামলাকে অগ্রহণযোগ্য বলে সংজ্ঞায়িত করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, এই অঞ্চলে উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষেরই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ম্যাখোঁ বলেন, রাফায় ইসরায়েল যে সামরিক আক্রমণের পরিকল্পনা করছে তার বিরোধিতা করছেন তিনি। কারণ, এটি গাজায় ইতিমধ্যেই বিপর্যয়কর পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং উত্তেজনাও বাড়িয়ে দেবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা করে। এতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি নিহত হয়। হামাস যোদ্ধারা ধরে নিয়ে যায় কয়েক শ ইসরায়েলিকে।

এরপর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় নৃশংস আক্রমণ শুরু করে। সর্বাত্মক সামরিক অভিযানে তেলআবিব কোনো মানবিক নিয়ম মানছে না।

নির্বিচারে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৭৭ হাজারের অধিক। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা রাফাসহ আশপাশের কয়েকটি শহরে আশ্রয় নিয়েছে। এখন সেখান থেকে শরনার্থীদের সরিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। তারা বলছে, সাধারণ মানুষের আশ্রয়স্থলের আড়ালে হামাস যোদ্ধারা রাফায় সংঘবদ্ধ হয়েছে। যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এ পরিস্থিতিতে রাফায় হামলা না করতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ইসরায়েলকে অনুরোধ করছে।

এর আগেও ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে জন্য রাফা থেকে জোরপূর্বক গাজাবাসীকে স্থনান্তর যুদ্ধাপরাধের শামিল হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।

এ ছাড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালালে ইসরায়েল বিশ্ব থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ২২ মার্চ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেন তিনি। কিন্তু এসব সতর্কবার্তার পরও ইসরায়েল তার অবস্থানে অনড়।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top