কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ মো. মনিরুল হক (৫৫) নামে এক কারিগরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেকনাফ উপেজলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম জুম্মাপাড়া লামা শীলের ঝিরি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিরুল রামু উপজেলার ঈদগড় কোদালিয়া কাটার (ছমুদা বড় বাড়ি) মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
তার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে লামা শীলের ঝিরি পাহাড়ের পাদদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে মনিরুল হককে আটক করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে দুটি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক, দুটি দেশীয় তৈরি এলজির ব্যারেল, দুটি হাতল ব্যতীত দেশীয় তৈরি এলজির বডি, লোহার তৈরি দেশীয় এলজির ট্রিগারের বিভিন্ন ছোট অংশ ১৪টি, ১টি কাঠের হাতল যুক্ত করাত, ১টি লোহার তৈরি ড্রিল মেশিন, লোহার তৈরি বেঞ্চ বাইছ ১টি, ১টি লোহার বস্তু, ২টি হাতুড়ি, ব্লেড সংযুক্ত ১ হেস্কো মেশিন, ৫টি হেস্কো ব্লেড, দুটি প্লাস, ১টি কাটিং প্লায়ার, ১টি লোহার তৈরি চিমটি, ১টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১টি বাটাল, ১টি রামদা, ৫টি লোহার পাইপ এবং ৬৬টি তার কাটা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আটক মনিরুল এ পর্যন্ত হাজারও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করার পাশাপাশি অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যার কারনে তিনি মাস্টার উপাধি পেয়েছেন।
জানা যায়, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে অস্ত্র তৈরির কাজ করছে মনির। সহযোগীদের সাথে নিয়ে তৈরি করা দেশী এসব অস্ত্র কক্সবাজার শহর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অরপাধীদের কাছে বিক্রি করতেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।