পাকিস্তানের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা হলেও সরকার গঠন নিয়ে নানা সমীকরণ চলছে। এককভাবে সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি কোনো দলই। তবে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা। এর মাধ্যমে নতুন লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছে দলটি।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র রাওফ হাসান বলেন, ভোটের পর আইনি যুদ্ধের মুখামুখি হতে হচ্ছে তাদের দলকে। তিনি বলেন, ফরম ৪৫ সেসব দলকে দেওয়া হয়েছে যারা বিজয়ের দাবি করেছে। বিষয়টি টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনের দিন মধ্য রাতের আগে হেরে যাওয়া প্রার্থীদের কাছেও এ ফরম হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে আসলে কোনটি সঠিক তা যাচাইয়ের জন্য তাদের আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
রাওফ হাসান বলেন, পাকিস্তান এমনিতে নির্বাচনে জর্জরিত। ফলে নির্বাচিত প্রার্থীরা অন্য দলের দ্বারা প্ররোচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বুদ্ধিভিত্তিকভাবে পরিচালিত তরুণ সমাজ গত কয়েক বছরে পিটিআইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। ফলে তাদের কিনে নেওয়া অতটা সহজ নয়।
উল্লেখ্য, ফরম ৪৫ হলো এমন নথি যেখানে একটি আসনের সব ভোটকেন্দ্রের ফলাফল সন্নিবেশিত থাকে। তবে জাতীয় পরিষদের প্রতিটি নির্বাচনী আসনে ৩০০টির বেশি ভোটকেন্দ্র থাকতে পারে।
এদিকে নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের পর পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কেন্দ্র এবং পাঞ্জাব প্রদেশে জোট সরকার গঠনে একমত হয়েছে। পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে দেখা করে পাকিস্তানের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এ ছাড়া পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকভির বাসভবনে পিপিপি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন শাহবাজ। তিনি জারদারির সঙ্গে ভবিষ্যৎ সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং নওয়াজ শরিফের বার্তাও পৌঁছে দিয়েছেন।