আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এই নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্যাংশনের ভয় দেখানো হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে চেয়েছে বিএনপি। সাথে ছিল বিদেশি প্রভু। সমালোচকরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের আমলে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে কাজ করতে আহ্বান জানাই। এছাড়া মজুতদারি ও চাঁদাবাজিতে দ্রব্যের দাম যেনো না বাড়ে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এই নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের কাছে প্রশ্ন, কী কী কারণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি সেটা বলতে হবে।
সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় প্রমাণ হয়েছে যে একটা দেশের সরকার ধারাবাহিকভাবে থাকলে সে দেশের উন্নয়ন হয়। আমরা সেটা প্রমাণ করেছি।’
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন একটা দেশে একটা সরকার একটানা ১৫ থেকে ২০ বছর সরকারে থাকলে, সে দেশের উন্নয়ন হয়। তার কথাটি সঠিক। কারণ, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা যা যা উন্নয়ন করেছি, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা ধ্বংস করে দিয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একটানা সরকার পরিচালনা করে আসছি বলেই প্রকৃতপক্ষে দেশটার উন্নয়ন হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।’
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণকে যেসব ওয়াদা দিয়েছেন, সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কোনো যেন বদনাম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, ক্ষমতা ভোগের নয়, ত্যাগের। কারণ, ওই ধনসম্পদ কোনো কাজে আসে না। মানুষের জন্য কাজ করে তাদের ভালোবাসা অর্জন করাটাই সবচেয়ে বড় কাজ। সেজন্য জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পালন করতে হবে।’
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এ সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা, থানা, পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানদের নিয়ে সকাল ১০টার দিকে ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’ শুরু হয়।